Breaking News
Home / বিনোদন / মাধুরী দীক্ষিত কোন এক ধর্ষণ দৃশ্যে অভিনয় করতে বাধ্য হয়েছিলেন

মাধুরী দীক্ষিত কোন এক ধর্ষণ দৃশ্যে অভিনয় করতে বাধ্য হয়েছিলেন

সস্তার জনপ্রিয়তা পেতে অনেক সময় সিনেমায় ধর্ষণ দৃশ্য দেখানো হয়। কোন অভিনেত্রী না চাইলেও তাকে সেই দৃশ্য করতে বাধ্য করা হয়। তিন দশক আগে এমনই বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত। সম্প্রতি একটি রেডিও চ্যানেলের বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছেন জেহরা কাজমি নামের এক সাংবাদিক। খবর ইন্ডিয়া ডট কমের।

খবরে বলা হয়, টুইটার ব্যবহারকারী অভিনেতা ও উপস্থাপক অন্নু কাপুরের রেডিওর শোয়ের মাধ্যমে বিষয়টা জানতে পারেন জেহরা কাজমি।

জেহরা বলেন, বাপুর পরিচালনায় একটি সিনেমার শুটিং চলছিল। একটি দৃশ্য ছিল মাধুরীকে ধর্ষণ করবেন সিনেমার খলনায়ক রঞ্জিত। সেই দৃশ্যে অভিনয় করতে চাননি মাধুরী। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও তিনি সেটা থেকে বের হয়ে আসতে পারেননি।

পরিচালক জোর দিয়ে বলেছিলেন, ‘‌ধর্ষণ দৃশ্য তো থাকবেই’।‌ পরে সেই দৃশ্য শুটিং করা হয়। পরিচালক থেকে ক্রু— সকলেই শুটিংয়ের পরে হাততালি দিয়ে ওঠেন। মাধুরী তখন কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না। সেই অভিজ্ঞতার কথাই সম্প্রতি একটি রেডিও চ্যানেলে বর্ণনা করছিলেন অন্নু কাপুর।
অন্নুর কথা বলার ধরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জেহরা। তার মতে, ঘটনার বর্ণনা রসিয়ে রসিয়ে বলেছেন অভিনেতা অন্নু। তাতে নারীদের সম্মানহানি হয়েছে। তিনি এতটাই রসিয়ে বলেছেন যে ‘‌‌রেপ সিন তো হোগা’‌ মন্তব্যের পরে ক্যাবের ড্রাইভারও হেসে ওঠেন।

এর কয়েক মাস আগে, বিখ্যাত অভিনেত্রী চিত্রাঙ্গদা সিং দাবি করেছিলেন, ‘বাবুশাই বন্দুকবাজার’ চলচ্চিত্রের জন্য নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর সঙ্গে যৌনসম্পর্ক করার জন্য তাকে কিভাবে জোর করা হয়েছিল। এ কারণে তিনি মাঝখানেই ছবিটি ছেড়ে দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, এটা খুবই দুঃখের বিষয়, যখন বলিউড অভিনেত্রীরা না চাইলেও তাদের এমন দৃশ্য করতে বাধ্য করা হয়।
উল্লেখ্য, হলিউডের বেশ কিছু অভিনেত্রী বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা উইনস্টন হার্ভের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলার পর সবর গোটা হলিউড। এ ঘটনায় শুধু হলিউড নয়, মি টু প্রচারাভিযানে বেরিয়ে পরে সারা পৃথিবীর অসংখ্য নারী। তারাও তাদের জীবনের নানা তিক্ত অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
সম্প্রতি বলিউড অভিনেত্রী রিচা চাড্ডা বলেছেন, যৌন নির্যাতন কিভাবে বলিউডের গোটা ইন্ডাস্ট্রিতে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে তিনি কারও নাম বলেননি।

তথ্য কণিকা তৌফিক আহমেদ বিপ্লব

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

You may use these HTML tags and attributes: <a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>

Scroll To Top